রেমালের প্রভাবে পানিতে ভাসছে বরিশালের নিম্নাঞ্চল

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ২২:০৭

জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি বাড়তে শুরু করেছে কীর্তনখোলাসহ আশপাশের নদীগুলোতে। সেই সাথে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে দেড় থেকে দুই ফুট পানির নিচে ডুবেছে বিভিন্ন এলাকায়। পানি ঢুকে পড়েছে মানুষের বাড়ি ঘরে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের।
সরেজমিনে বরিশাল নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকায় দেখা যায়, পলাশপুর ১ নম্বর এবং ৮ নম্বর এলাকা পুরোটাই পানিতে ডুবে আছে। রাস্তার পাশে ঘরবাড়ির মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে। এলাকার মানুষ পানি থেকে রক্ষা পেতে শিশু সন্তানদের নিয়ে চকির ওপর অবস্থান নিয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। আবার রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গোসল করতে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের।
এমন চিত্র শুধু পলাশপুর এলাকাতেই নয়, মোহাম্মদপুর কলোনী, ভাটিখানা, কাউনিয়া, বেলতলা, আমানতগঞ্জ, চরবাড়িয়া, লামচরি, বরিশাল নগরীর রসুলপুর কলোনী, রূপাতলী ধানগবেষণা এবং জিয়ানগর এলাকা, খ্রীস্টানপাড়া, দপদপিয়া, কালিজিরা এবং সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোর চিত্র একই। জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ।
পলাশপুর ৮ নম্বরের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক ফোরকান জানান, ‘তাদের এলাকার পাশেই খাল। যেই খালের সংযোগ কীর্তনখোলা নদীর সাথে। দুপুরের পর পরই খালে জোয়ারের পানিতে ডুবে যেতে শুরু করে গোটা এলাকা। বিকেল ৪টার মধ্যেই প্রায় দুই ফুটের মতো পানি জমেছে পলাশপুর ৮ নম্বর এবং ১ নম্বর গলিতে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশল সৈয়দ আরশাদ বলেন, ‘কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। জোয়ারের কারণে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ভাটার সময় পানি কমবে। তবে রেমালের প্রভাবে জলচ্ছাসের সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কীর্তনখোলা নদীর পানি আরও বিপৎসীমার বাইরে যেতে পারে।