Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডে আটক সাইফুলের সম্পৃক্ততার খোঁজে পুলিশ

Icon

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ২২:৪১

এমপি আজীম হত্যাকাণ্ডে আটক সাইফুলের সম্পৃক্ততার খোঁজে পুলিশ

গোয়েন্দা শাখার লোগো। প্রতীকী ছবি

পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শিমুল ভুইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড সাইফুল আলম ওরফে সাইফুল মেম্বারের (৪৭) ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যার পেছনে সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তদন্ত করছে যশোর ডিবি পুলিশ।

কারণ, যে সময় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ভারতের কলকাতায় হত্যার শিকার হন সে সময় সাইফুল মেম্বার ভারতে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি চোরাইপথে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দেশে ফেরেন এবং ছদ্মবেশ ধারণ করে যশোর চাঁচড়া বাবলাতলা এলাকার একটি মাছের হ্যাচারিতে শ্রমিকের কাজ নেন।

সাইফুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলা করেছেন ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম। এই মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। 

সাইফুল মেম্বার অভয়নগর উপজেলার দত্তগাতি গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার ছেলে। সাইফুলের কাছ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একটি ভারতীয় কোম্পানির মোবাইল ফোন সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

অন্য দুই পলাতক আসামি হলো, অভয়নগরের বারান্দী গ্রামের মৃত শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে ইমাদ উদ্দিন (৪৪) এবং যশোর শহরে চাচঁড়া এলাকার জিসান (২৮) নামে এক যুবক।

পুলিশ জানিয়েছেন, মণিরামপুরের উদয় শংকর হত্যার মামলার আসামি সাইফুল মেম্বার। গত ১৬ অক্টোবর মণিরামপুরের পাঁচাকড়ি গ্রামের যুবলীগ নেতা প্রভাষক উদয় শংকর হত্যার পর সাইফুল ভারতে পালিয়ে যায়। এছাড়া ভারত থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়মিত দেশে নিয়ে আসতো। ভারতীয় মোবাইল কোম্পানির সীমকার্ড ব্যবহার করে সে বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতো। ওই বিস্ফোরক দ্রব্য ইমাদ উদ্দিনের মাধ্যমে অজ্ঞাত লোকজনের কাছ থেকে নিয়ে তা দেশে আনতো। জিসান নামে যে যুবক পলাতক রয়েছে তার কাছে ওই বিস্ফোরক দ্রব্য সরবরাহ করার কথা ছিলো। সাইফুলের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় চারটি মামলা আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, উদয় শংকর হত্যার পর আল আমিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়। আল আমিন আদালতে ১৬৪ ধারার হত্যাকাণ্ডে  জবানবন্দিতে সাইফুলের নাম বলে। তখন থেকে পুলিশ সাইফুলকে আটকের জন্য তৎপরতা চালায়। কিন্তু সে ভারতে পালিয়ে যাওয়া এতোদিন তাকে আটক করা যায়নি। 

পুলিশ জানিয়েছে, তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। সে কারণে বুধবার (২৯ মে) আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। কিন্তু রিমান্ড শুনানি হয়নি। পরবর্তীতে শুনানি হবে।    

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫