Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ উধাও!

Icon

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ১০:৩৪

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ উধাও!

চট্টগ্রামের চকবাজারে ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখার লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণ উধাও হয়ে গেছে। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের চকবাজারে ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখার লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণ উধাও হয়ে গেছে। উধাও হয়ে যাওয়া স্বর্ণের দাম ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। মালিকের দাবি, এসব স্বর্ণ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরিয়ে ফেলেছেন। 

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকারের চাবি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের (গ্রাহক) কাছেই থাকে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক দায় এড়াতে পারেন না। তদন্ত করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ করেননি। 

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে, ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার সোনার গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। গত বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।

তিনি বলেন, তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভুক্তভোগী ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫