ঝিনাইদহে মামা-ভাগ্নে কাঁপাচ্ছে কুরবানির বাজার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ২৩:২১

ঝিনাইদহে মামা ও ভাগ্নে কাঁপাচ্ছে কুরবানির বাজার। ছবি- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
মামার ওজন ১০০০ কেজি ও ভাগ্নের ওজনও কম না ৭০০ কেজি। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে। বিশাল এ দুটি ষাঁড়ের মালিকের দাবি নামকরণ হয়েছে নিজ ইচ্ছাতে না। শুনতে অদ্ভুত হলেও বাস্তবেই তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। মামার বোনের সন্তান ভাগ্নে। তাদের থেকেই এই দুই বিশালাকার ষাঁড় দুটির জন্ম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড় দুটিকে লালন পালন করা হয়েছে। মামার বয়স ৪ বছর ও ভাগ্নের বয়স সাড়ে ৩ বছর।
ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার ভাটই কুলচারা গ্রামে গেলে দেখা মিলবে দৈত্যাকার ষাঁড় তার নাম আবার মামা। বিশালাকার এই ষাড়ের ওজন কমপক্ষে ১০০০ কেজি বা ২৫ মণ। আতিয়ার রহমানের বাড়িতে গেলে দেখা মিলবে এ পাকিস্তানী সয়াল জাতের এ ষাড়ের। বয়স ৪ বছর। জন্মেছে আতিয়ারের বাড়িতেই। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবারই ষাড়টিকে বিক্রি করার মনস্থির করেছেন মালিক। পুরো পরিবার ষাড় দুটির যত্ন-অত্বিত্বে সারাদিনই ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবারের কুরবানির ঈদের হাটে মামার দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ ও ভাগ্নের দাম ১০ লাখ টাকা।
কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, দিনে কমপক্ষে ৪ বার তাদের গোসল করাতে হয়। খাবারের তালিকা রয়েছে একবারেই দেশিয় খাবার যেমন- ভাত, গম, উন্নত জাতের নেপিয়ার ঘাস ও খড়।
আতিয়ার রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম জানান, এই গরমে কোনভাবেই আমরা কেমিক্যাল দেই না। সন্তানের মতো ভালোবাসা দিয়ে এই ষাঁট দুটিকে লালন পালন করা হয়েছে।
গ্রামবাসী রহমান আলী জনান, এত বড় গরু আমরা এর আগে দেখিনি। এদের নামেও রয়েছে বৈচিত্র ।
ঝিনাইদহ সদরের উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোনজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এ বছর জেলা জুড়ে প্রস্তুত রয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার কুরবানির পশু। এর মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার। উদ্বৃত্ত থাকবে ১ লাখ ১১ হাজার ৫০০।