Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

যমুনার চর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ১৯:৪৮

যমুনার চর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার

যমুনার চর থেকে উদ্ধারকৃত গরু। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর চর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগার পটল নামক স্থানে কাশবন থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়।

আজ শনিবার (৮ জুন) সাঘাটা থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার গরু চোরেরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চরাঞ্চলকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়ে চোরেরা। তারা চরাঞ্চলের কাশবনের ভেতর চোরাই গরু সংরক্ষণ করছিল।

গত শুক্রবার থানায় গোপনে সংবাদ আসে উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের দক্ষিণ সাথালিয়া এলাকার বুগার পটল নামক চরে চোরেরা কাশবনের ভিতর চোরাই গরু এনে রেখেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সাঘাটা থানা পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় জনসাধারণসহ চরের কাশবনের ভেতর অভিযান চালিয়ে কাশবনের ভেতরে কতিপয় চোর ও চোরাই গরু দেখতে পাই। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাই গরুগুলো রেখে চোরেরা কাশবনের মধ্য দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছোট-বড় ১২ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) আরো বলেন, এর মধ্যে ৪টি গরু উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের যাদুরতাইড় গ্রামের মো. শফিউর রহমান তার নিজের বলে শনাক্ত করেছেন। বাকি ৮টি গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উপযুক্ত প্রমাণসহ মালিক পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতের মাধ্যমে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী সব থানাগুলোতে বেতার বার্তা পাঠানো হয়েছে। দুইজন চোরের নামও শনাক্ত করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ৪টি গরুর মালিক শফিউর রহমানকে বাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫