লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে মেয়ের প্রেমিক শ্রী জলধর বর্মন নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যার দায়ে মো. মন্তাজ আলীকে (৬১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অভিযুক্ত বাকী ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (৯ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।

জানা যায়, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে জলধর বর্মন নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত শ্রী জলধর বর্মনের বাবা শ্রী প্রেমানন্দ বর্মন। মামালায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মো. মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তাজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এসময় মামলার ১৪ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা ও তদসহ দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্র পক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করিতে সমর্থ না হওয়ায় আদালত তাদের মামলা হইতে অব্যাহতি প্রদান করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রী প্রেমানন্দ বর্মনের ছেলে শ্রী জলধর বর্মন পরিচয় গোপন করে জাহাঙ্গীর নাম পরিচয় দিয়ে আসামী মো. মন্তাজ আলীর মেয়ে রুমি বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একদিন আসামি মন্তাজ আলীর অনুপস্থিতিতে জলধর রুমি বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে মন্তাজ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে জলধর বর্মনকে হত্যা করে।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় আদালত মোট ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে রবিবার সকল আসামির উপস্থিতিতে আলোচিত জলধর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। রায়ে বলা হয়, জলধর বর্মনকে হত্যার দায়ে  মন্তাজ আলীকে (৬১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড। বাকী ১৪ জন আসামিকে বকসুর খালাস।

সাজাপ্রাপ্ত মমতাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার হাজতবাসের দিনগুলো সাজা থেকে বাদ দিতেও বলা হয় আদেশে।

লালমনিরহাট আদালত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাজাপ্রাপ্ত মমতাজ উদ্দিনকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।