
শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত যুবক। ছবি: সাভার প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু জিসান নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আল আমিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে সাভারের নবীনগরে র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে, সোমবার বিকেলের দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন মানিকগঞ্জ সদর থানার জয়রা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। তিনি ধামরাই কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
নিহত শিশু জিসান হাসান রাব্বি বাবা-মায়ের সঙ্গে ধামরাইয়ের কালামপুর বাজার এলাকায় থাকতেন। তার বাবা জুয়েল রানা কালামপুরের একটি হোটেলের কর্মী।
র্যাব জানায়, গত ৯ জুন সাত বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরের দিন সোমবার বিকেলের দিকে ধামরাইয়ের একটি কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়। ওই ঘটনায় ছায়া তদন্ত চালিয়ে শিশুটির হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই আটক অভিযুক্ত জানায়, ৯ জুন বিকেলের দিকে কালামপুর এলাকায় শিশুটির গলায় রুপার চেইন দেখতে পান তিনি। এসময় কৌশলে তাকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নেয়। এ ঘটনা আড়াল করতে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি তিনি ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামি নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে থাকেন। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য তিনি ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকেন। এমনকি গত ৫-৬ মাস আগেও তিনি চুরির ঘটনায় ধরা পড়েন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন হত্যাকাণ্ডটির ব্যাপারে দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানায় র্যাব। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয় বাহিনীর পক্ষ থেকে।