গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ে ঢুকে ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১৭:৪০

হামলায় আহত তিন শিক্ষার্থী। ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী জান্নাতী আকতার ফাতেমা (২১) নামের এই নারী হঠাৎ করে বিদ্যালয়ে ঢুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটায়।
আহতদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে ভর্তি তিন শিক্ষার্থীরা হলেন- সেতু খাতুন, মিতু আক্তার ও রাবেয়া খাতুন। তারা তিনজনই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। এরমধ্যে ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ ও রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হন। সিমা আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত জান্নাতি আক্তার ফাতেমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
অভিযুক্ত ওই নারী সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ও ইসবপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে মেয়েদের ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলাকালীন সময়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গল্প করছিলো। এসময় হঠাৎ করে জান্নাতি আক্তার বিদ্যালয়ে ঢুকে তার হাতে থাকা ধারালো একটি ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করে। স্থানীয়রা কেউ কেউ ওই নারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন।
জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে জান্নাতি আকতার নামের মেয়েটি হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তার কাছে একটি দেশীয় ধারালো একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। তবে কেন কি কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।