রেলপথে দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টা থেকে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে ওই দাবি জানান গণ কমিটির নেতারা।

মানববন্ধনে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সাংস্কৃতিক কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

এসময় বক্তব্য দেন রেল-নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান, লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহবায়ক সুপেন্দ্র নাথ দত্ত, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, সহকারী অধ্যাপক আবু হাসনাত রানা, সাংস্কৃতিক সংগঠক রন্জন কুমার দে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কুড়িগ্রাম কমিটির সদস্য নাজমুল আল হাসান, গণ সংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দীপক কুমার রায়, প্রথম আলোর লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আবদুর রব সুজন, ছড়াকার পিকে বিক্রম, ছড়াকার আজিজুল হক মোল্লা, লালমনিরহাট রতনাই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী মুনিম হোসেন খন্দকার প্রমুখ। 

বক্তাগণ বলেন, বগুড়া থেকে সিরাজগন্জ হয়ে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুর অঞ্চলের মানুষ সড়ক পথে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করলে ২০৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। সেখানে রেলপথে একই গন্তব্যে যাতায়াত করতে ৪০৫ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। এতে করে আর্থিক ও সময়ের দিক থেকে বাড়তি ব্যয় ও সময়ের অপচয় হচ্ছে। এর আগে এই দূরত্বের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রেয়াত বা ছাড় বহাল ছিল। কিন্তু চলতি ২০২৪ সালের ৪ মে থেকে রেল মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে শতকরা ত্রিশ ভাগ টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। যা যাত্রী সাধারণের জন্য বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের রেলপথে ভ্রমণের অনাগ্রহ সৃষ্টির কারণ হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনা করে দূরত্ব ভিত্তিক রেয়াত পুনর্বহাল করা সময়ের দাবি। 

বক্তারা আরো বলেন, লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় এলাকার সমস্ত রেলপথ কে মিটার গেজ থেকে ডবল লাইনসহ  ডুয়েল গেজে পরিবর্তন করতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডায় অবস্থিত তিস্তা রেলওয়ে সেতুর পরিবর্তে নতুন ডুয়েল গেজ লাইন সম্বলিত তিস্তা রেল সেতু নির্মাণ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট রেল স্টেশন পুনরায় চালু করণ ও মোগলহাট শুল্ক ও স্থল বন্দর স্থাপনের ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে রেলপথে সেকশন ভিত্তিক রেয়াত উঠিয়ে দেওয়া হয়। এরফলে তৎকালীন সময়ে ট্রেনের টিকিটের মূল্য শতকরা ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পায়। দুই দফায় ট্রেনের টিকিটের মূল্য মোট শতকরা ৮০ ভাগ বৃদ্ধি পায়।