Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

পার্বত্য চুক্তি ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে: সন্তু লারমা

Icon

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ১৬:৪৪

পার্বত্য চুক্তি ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে: সন্তু লারমা

সিএইচটি হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) নেটওয়ার্কের সম্মেলন। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

টানা ১৭ বছর ক্ষমতায় থেকেও বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে, তারই ধারাবাহিকতা হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম ১৯০০ শাসনবিধি বাতিলের চেষ্টা।

আজ শুক্রবার (২১ জুন) সকালে রাঙ্গামাটির রাজদ্বীপ এলাকায় সিএইচটি হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) নেটওয়ার্কের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সন্তু লারমা বলেন, ১৯৯৭ সালে যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন হয়েছিল সেটা যেন মানুষ ভুলে যায় সেজন্য শাসকগোষ্ঠী তথা সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তার অংশ হিসেবে ২৬ বছরেও চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরং চুক্তিকে ভুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের কার্যালয়ে হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। এতে উদ্বোধক ছিলেন মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী। সভায় আরো বক্তব্য দেন- চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙ্গামাটির স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান গৌতম দেওয়ান, হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা।

চাকমা সার্কেল চিফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য হুমকি। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত আন্দোলনের ডাক আসলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে আরো কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯০০ শাসনবিধি বাতিলের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের এটর্নি জেনারেলের অবস্থান খুবই দুঃখজনক। এই শাসনবিধি বাতিল হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। প্রয়োজনবোধে এ আইন বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা। 

সম্মেলন শেষে চিংকিউ রোয়াজাকে সভাপতি ও শান্তি বিজয় চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি আগামী ৩ বছর দায়িত্ব পালন করবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫