তুলা ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলায় ১৬৯০ জন তুলা চাষি ১ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রণোদনার উপকরণ পেয়েছেন।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিজানুর রহমান।

বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেন দেবাশীষ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল-আজাদ, জেলা সমবায় কর্মকর্তা কাজী বাবুল হোসেন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ এবং তুলা ইউনিট কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।

প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেন দেবাশীষ জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৭০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৫০ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬৫০ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৫২০ জন তুলা চাষি ১ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকার ৮০০ গ্রাম হাইব্রিড তুলা বীজ, ২৬ কেজি ইউরিয়া সার, ডিএপি ৫০ কেজি, এমওপি ৫০ কেজি, কীটনাশক সাড়ে ৪০০ মিলি লিটার, ছত্রাক নাশক ১৫০ মিলি লিটার ও পিপিআর ৩০০ মিলি লিটার প্রণোদনা উপকরণ দেওয়া হচ্ছে।

এদিন জীবননগর ইউনিট প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় প্রণোদনা উপকরণ বিতরণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রণোদনার উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেনুকা আক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এস.এম. এজাজুল ইসলাম।