Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

লালমনিরহাটে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১৬:৪২

লালমনিরহাটে কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

রাতের আঁধারে বাবা, ছেলে ও দুই জামাতা মিলে শাহিনুর ইসলাম (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার (২৬ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

এরআগে গত ১৯ জুন ওই কলেজছাত্রকে তুচ্ছ ঘটনায় পিটিয়ে ও খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা। নিহত শাহিনুর লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চিনিপাড়া এলাকার দরিদ্র কাসেম আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ইলেক্টিক মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন।

এ ঘটনায় থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের চাচা জসিম উদ্দিন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে  সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকার ঢাকা-বুড়িমারী মহা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলেন, শাহিনুরের বাবা কাসেম আলীর ৪ শতাংশ জমির উপর একচালা টিনের ঘর ছাড়া কিছুই নেই। সে ভিক্ষা করে ছেলের পড়াশোনার খরচ দিতেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শাহিনুর ছিল সবার রড়। এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েই সংসারের হাল ধরে শাহিনুর। সে ইলেক্টিক মিস্ত্রির কাজ করে পড়াশোনার খরচ যোগাতেন এবং সংসার চালাতেন। সংসারে উপার্জন করা বড় ছেলেকে হারিয়ে এখন চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন দরিদ্র বাবা কাসেম আলী। মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসী আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ শেষে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন শাহিনুর। এসময় অন্ধকারে দেখতে না পেয়ে শাহিনুর মোতালেব মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির শরীরে বাইসাইকেল লেগে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোতালেব শাহিনুরকে আটকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় খবর পেয়ে মোতালেবের ছেলে দুলু মিয়া (২৫) এবং বাড়িতে থাকা দুই জামাতা এনামুল হক (৩৫) ও মিজান মিয়া (৩০) মিলে বাঁশের লাঠি, গাছের ডাল ও লোহার রড  দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।  একপর্যায়ে শাহিনুরের ব্যাগ থেকে ইলেকট্রিক কাজে ব্যবহৃত স্ক্রু ড্রাইভার বের করে মুখে আঘাত করে ও চোখে খোঁচা দেয়। এতে থুতনির নিচে ফেটে যায় এবং চোখে রক্ত জমাট বাঁধে। পরে অচেতন অবস্থায় এলাকাবাসী শাহিনুরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে সাতদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার সকালে মারা যান শাহিনুর।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, ওই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫