
বেনাপোল কাস্টমস হাউস। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৮০ ভাগই সম্পন্ন হয় দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডলার সঙ্কটের কারণে ব্যবসায়ীরা চাহিদা মতো এলসি করতে না পারায় আমদানি কমলেও গেল অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানায়, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল দ্বিগুণ পরিমাণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে।
আমদানিকারক আল মামুন জানান, বৈশ্বিক মন্দায় ডলার সংকট দেখিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো বিনিময় হার বাড়ানোয় এলসি খুলতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। এতে করে বেনাপোল দিয়ে আমদানি কমেছে ব্যাপক হারে। তবে সরকার হঠাৎ বিভিন্ন পণ্য আমদানি উপর শুল্ক বাড়ানোয় কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, অর্থবছরে শেষ দিকে উচ্চ শুল্ক হারের বেশি আমদানি এবং সরকার শুল্কহার বাড়ানোয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়। অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব পরিশোধ পূর্বক ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তাছাড়া গেল অর্থবছরে সরকারের মেগা প্রকল্পের পণ্য বেনাপোল দিয়ে আমদানি হয়েছে। এতে করে কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের বৈধ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান তিনি।