Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ছুঁইছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৪:১৩

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ছুঁইছুঁই, বন্যার আশঙ্কা

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প এলাকা। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। যেকোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩ ঘণ্টায় পানি প্রবাহ বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবরে আবারো চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো নতুন করে আবারো পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন। শনিবার সকাল থেকে আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।


সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, তিস্তার উৎপত্তি ভারতের সিকিম থেকে। উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে এ নদীর পানি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বর্ষাকালে পানির চাপ বাড়ায় ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দেয় তারা। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। আর শুষ্ক মৌসুমে তারা সব গেট বন্ধ করে রাখে। ফলে পানি সঙ্কটে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়, নদীর ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী সঙ্কটে পড়ে। নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্যও বাধার মুখে পড়ে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫