Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ শিক্ষিকার

Icon

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৯:২৭

চেয়ারম্যানের কুপ্রস্তাবে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বন্ধ শিক্ষিকার

পঞ্চগড় জেলার মানচিত্র

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় ওই নারী যে মাদ্রাসায় চাকরি করেন সেখানকার অধ্যক্ষের দায়িত্বেও আছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান। বেতন বাড়িয়ে দেওয়া, পড়াশোনার খরচ বহন কিংবা অন্য যেকোনো প্রয়োজন মিটিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পরোক্ষভাবে কুপ্রস্তাব দেন ওই চেয়ারম্যান।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম মশিউর রহমান। তিনি সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। একই সাথে তিনি তালিমুল ইসলাম দাখিল মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ভুক্তভোগী নারী একই ইউনিয়নের পূর্ব সরকার পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

ভুক্তভোগী নারী অস্থায়ী ভিত্তিতে উল্লেখিত মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করেন গত বছর অক্টোবরে। এরপর ভালোভাবে সবকিছু চললেও গেল রমজানের ঈদের পর থেকে ওই নারীকে কর্মক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় অহেতুক কথাবার্তা বলতে ডাকতেন। এমনকি ভুক্তভোগী নারীর স্বামী অন্য নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত এমন অভিযোগ এনে সেসবের প্রমাণ দেখানোর জন্য তাকে নিরিবিলি দেখা করতে বলেন।

এরই এক পর্যায়ে ফেসবুকে চেয়ারম্যানের ম্যাসেজের রিপ্লাই না দেওয়া ও মাদ্রাসায় তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কারণে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী তার আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয়টি জানিয়ে বেতন চালুর অনুরোধ জানালে চেয়ারম্যান বেতন চালু করার আশ্বাস দিয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে দেখা করতে বলেন।

গত ১৬ মে চেয়ারম্যানের কথা মতো ইউনিয়ন পরিষদে যান ভুক্তভোগী নারী। এইসময় পরিষদ প্রাঙ্গণে মানুষজন থাকলেও চেয়ারম্যানের রুম ফাঁকা ছিল। কথা বলার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান অশ্লীল কথা বলা শুরু করলে ভুক্তভোগী সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে তার হাত ধরে টানাটানি করা হয় বসানোর জন্য। ওই নারী কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে সেখান থেকে দ্রুত বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন থেকে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে ওই নারীকে বিভিন্ন সময় কল ও ম্যাসেজ দিয়ে আসছেন। ম্যাসেজের বিষয়টি অন্য কাউকে না বলার জন্যও পরামর্শও দেন তিনি। প্রতিবেদকের নিকট চেয়ারম্যান ও ভুক্তভোগীর মধ্যে ম্যাসেজ আদান-প্রদানের বেশ কিছু স্ক্রিনশট আসে।

চেয়ারম্যানের এমন লালসার কারণে সেই শিক্ষিকা কোরবানির ঈদের ছুটি শেষ হলেও মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেন। এখন বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিভিন্নভাবে ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ও তার স্বামী।

কি কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মাদ্রাসায় আসছেন না এমন প্রশ্ন করলে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকরা বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে হুট করে মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনায় শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কাছে ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ করেন।

পরে দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা দেবীগঞ্জ থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ মশিউর রহমানকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫