টঙ্গিবাড়ীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৮

ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদার। ছবি: মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সুমন হালদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে পাঁচগাও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান পরাজিত হওয়ার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে গুলি করে হত্যা করে তার চাচাতো ভাই।
নিহত সুমন পিয়ার হোসেন হালদারের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপর এ ঘটনায় টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশ কাওসার হালদার, শেখ নুর ও নুর হোসেন নামের তিনজনকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পাচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এতে সভাপতি পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে স্থানীয় মনির দেওয়ান ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং পাচগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিলেনুর রহমান ২ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
এদিকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে স্কুলের মাঠে মিলেনুর রহমান ও মনির দেওয়ান গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল বাঁধে। সভাপতি পদে ভোটে হেরে যাওয়া মিলেনুর রহমান পরাজিত হওয়ায় নুর মোহাম্মদ হালদার তার চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দোষারোপ করে তেড়ে যায়। এতে সুমন প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় নূর মোহাম্মদ পিস্তল বের করে জন সম্মুখে সুমনকে গুলি করে। ঘটনার পরপরই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দুপুর ২ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, ‘রবিবার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপদি পদে নির্বাচন ছিল। নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার পর ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের বারান্দায় সুমন হালদারকে গুলি করে হত্যা করে তার বন্ধু নূর মোহাম্মদ।
তিনি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরই নূর মোহাম্মদ পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।