Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

ফরিদপুরে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

Icon

এহসান রানা, ফরিদপুর

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৩:০১

ফরিদপুরে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

ফরিদপুরে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন কয়েকজন চাষি। ছবি: লেখক

পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার প্রায় ১০ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়। 

জানা যায়, সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য খুবই বিখ্যাত। এখন চলছে পাটের মৌসুম। তারপরও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজ তেমন ভালো না হলেও বীজ বোপণ করা পেঁয়াজ ভালোই লক্ষ করা যাচ্ছে জমিগুলোতে। গাছের গোড়ায় গোল আকারে নামতে শুরু করছে পেঁয়াজ। ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার বেশ কয়েকজন চাষি।

আবার পেঁয়াজের গাছ মরে ক্ষেত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে কতিপয় চাষির স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানা যায়। উপজেলার 

কৃষক অরুণ, মোতালেব, নয়ন, সেলিম নামে কয়েক চাষির সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, শীতকালে আমাদের এলাকায় প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়। তাই গ্রীষ্মকালীন সময়েও আমরা পেঁয়াজের আবাদ করেছি। যেসব জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে সেগুলো তেমন ভালো হয়নি। এ কারণে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। 

চাষিরা আরও জানান, পেঁয়াজের বীজ বপন করা ক্ষেতের পেঁয়াজ মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ নামতে শুরু করেছে। এটা ২০-২১ দিন পর ক্ষেত থেকে উত্তোলন করা যাবে। এই গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজের আবাদ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে করলে ভালো ফলন পাব সে বিষয়ে আমাদের আরও জানতে হবে। আশা করি আগামীতে বেশি করে আবাদ করব। 

ফরিদপুরের উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কিছু ক্ষেতে ভালো হয়েছে। আর যেসব ক্ষেতে পানি জমে থাকে সেসব ক্ষেতের পেঁয়াজ ভালো হয়নি। তবে বেলে-দোঁআশ মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। হালি পেঁয়াজ রোপণের চেয়ে এই মৌসুমে পেঁয়াজের বীজ বোপণ করা ভালো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫