ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১৫:২৭

তাজুল ইসলাম (৫৫) ও মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮)। ছবি: প্রতিনিধি
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমান প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে বাসে স্ট্রোক করে মারা যান বড় ভাই। পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮) ও তাজুল ইসলাম (৫৫) নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ি সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ছোট ভাইয়ের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই দুপুরে বড় ভাইয়ের জানাজা শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। গত বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ( মেম্বার) মো.মাকছুদুর রহমান বলেন, তাজুল ইসলাম গত ২০ বছর ধরে জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে বসবাস করছে। গত পাঁচ দিন আগে সে ওমানে স্ট্রোক করে মারা যায়। শুক্রবার ১২ জুলাই সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। এজন্য বড় ভাই দ্বীন ইসলাম দুদিন আগে ঢাকা চলে যায়। যাত্রা পথে সে বাসের মধ্যে স্ট্রোক করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মেম্বার মাকসুদুর রহমান আরও বলেন, দ্বীন ইসলামও দীর্ঘ দিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছে গত দেড় বছর আগে দেশে চলে আসেন। পরে তার সন্তানেরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি।
জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, আজ শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। তারা এসে পৌঁছলে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।