সিরাজগঞ্জে হিন্দু-খ্রিস্টান সংঘর্ষে আহত ১০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০, ২২:৫২

ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর দক্ষিণ জোড়পুকুর এলাকায় হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) একটি শ্মশান ও খ্রিস্টান কবরস্থানের মাঝের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, এক সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত মাধাইনগর এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাস ছিল। প্রায় এক দশক আগে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে এ গ্রামের শ্মশানটি তারা মাঝখান দিয়ে বেড়া দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত করে হিন্দুরা শ্মশান আর খ্রিস্টানরা কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে হিন্দুরা ওই বেড়া সরিয়ে শ্মশানের পুরো অংশজুড়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে খ্রিস্টানরা তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা ধীরেন্দ্রনাথ মাস্টার দাবি করেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ডা. সুশীল ও হিতেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন হিন্দু শ্মশান ও কবরস্থানের মাঝের সীমানার বেড়া জোরপূর্বক তুলে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের পক্ষের সুমন সাউড় (২১), সুনীল এক্কা (৪০), সুরবালা আইন্দ (৭০), শান্তি সাউড় (৬০), এলেমদা তির্কিসহ (৫০) সাতজন আহত হন।
এ বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা পরিতোষ দাবি করেন, শ্মশানের নামের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি খ্রিস্টানরা জোর করে দখল করে নিয়ে অবৈধভাবে কবরস্থান বানিয়ে ব্যবহার করে আসছিল। আমরা শ্মশানের জায়গা ঘিরে প্রাচীর দিচ্ছি। এর সঙ্গের সরকারি খাস সম্পত্তি ছাড়াও তাদের জন্য চার ফুট রেখেই প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে আমাদের পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ওসি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।