নিহত শিক্ষার্থী রানা হামিদ। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে রানা হামিদ (১৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।
গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধাওয়া করে ঘরের তালা ভেঙে পিটিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত রানা শৈলকূপা উপজেলার ধলাহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া তিনি ২০২৪ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রানা উপজেলা লাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার গ্রাম কাশিনাথপুরে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে। এসময় তিনি প্রাণভয়ে নিলুফা নামে এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। নিলুফা তাকে ঘরে তালা দিয়ে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ঘরের তালা ভেঙে তাকে পিটিয়ে জখম করে রেখে চলে যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ জুলাই সোমবার রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা বন্দেরখালি ব্রিজের পাশে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা। চেয়ারম্যান বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার রাতে চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা মোটরসাইকেলযোগে তার বাড়ি কুশোবাড়িয়া গ্রামে ফিরছিলেন। এসময় বন্দেরখালি ব্রিজে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা অস্ত্রধারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
লাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে সৃষ্ট গোলযোগকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তদন্ত চলছে, তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কেউ লিখিত কোন অভিযোগও দেয়নি।