Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সেন্টমার্টিনে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, সন্ধান মেলেনি একজনের

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ২০:২৯

সেন্টমার্টিনে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, সন্ধান মেলেনি একজনের

সেন্টমার্টিন দ্বীপ। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

সেন্টমার্টিন ট্রলারডুবি ঘটনায়  নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো একজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

মৃতরা হলেন, মৃত আজম আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (২৮) ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ (৩০)। তাদের মধ্যে ইসমাইল ট্রলারের যাত্রী এবং ফাহাদ স্পিডবোট নিয়ে ট্রলার ডুবে নিখোঁজদের খুঁজতে যাওয়া ব্যক্তি।

তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ছলিম উল্লার ছেলে নূর মোহাম্মদ সৈকত (২৭)। তারা সবাই সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বুধবার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। পরে কিছু লোক ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যায়। এতে ঢেউয়ের ধাক্কায় একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এরপর থেকে এসব ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুজনের মরদেহ ভেসে এলেও নুর মোহাম্মদ সৈকত নামে একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। 

নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার চেষ্টার পাশাপাশি মরদেহগুলো উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে সেখানকার পরিস্থিতি এখনো থমথমে রয়েছে। এখনো দ্বীপের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঘর থেকে সাধারণ মানুষ বের হচ্ছেন না। 

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ট্রলারডুবির পর কোস্টগার্ডকে জানানো হলেও তারা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেননি। কয়েকজন দ্বীপবাসী সার্ভিস বোট ও ফিশিং ট্রলার নিয়ে উদ্ধারে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে ঘাটে ফিরে আসলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ছবি তোলার চেষ্টা করে। এতে দ্বীপবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে তারা কোস্টগার্ডের চৌকি ভাঙচুর করে। এসময় ফাঁকা গুলি চালায় কোস্টগার্ড। এতে গুলিবিদ্ধ হন দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে কোস্টগার্ডের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার করতে গিয়ে একটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুরে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ট্রলারের ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ একজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরেকটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় উদ্ধার অভিযান নিয়ে কোস্টগার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫