
প্রতীকী ছবি
টাঙ্গাইল সদর থানাসহ পাঁচটি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়াও শহরের কুমুদিনী কলেজ মোড় ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ বক্স এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করাসহ পুলিশের ওপর হামলা করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ২৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি, আবার কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১০ সাংবাদিক আহত হন। এছাড়াও পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তারা সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
এদিকে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক নেতারা বাদী হয়ে ১১টি মামলা করেছেন। এরমধ্যে টাঙ্গাইল সদরে চারটি, কালিহাতীতে দুটি, মধুপুরে তিনটি, ধনবাড়ীতে একটি ও ঘাটাইল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো ২ হাজার ৮৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।