বেনাপোল সীমান্তে আটকে আছে ২ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১৩:১০
বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ২ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ২ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় গত ৮ দিন ধরে আটকা পড়েছে।
ভারত দুই দেশের মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় ওপারে ভয়াবহ ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ১০ চাকার ট্রাকে ১৫০০ রুপী ও ৬ চাকার ট্রাকে ১০০০ রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে আমদানিকারকরা মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহে সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন আছে দুই দেশের সরকার প্রধানের। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীরা। ফলে ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে ৭০০ এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে ১৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। বর্তমানে আমদানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক ও রপ্তানি কমে ৫০ থেকে ১০০ ট্রাকে এসেছে। তিনি আরও জানান, আটকে থাকা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল ও মেশিনারিজ ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাঁচামাল।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে ৩৩৫ থেকে ৩৭০ ট্রাক পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৪০ থেকে ৮০ ট্রাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি হাজী মহসিন মিলন বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও কারফিউ চলাকালে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কমে গেছে। সেই সাথে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি ও কমে গেছে। ওপারে পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়েছে। আটকে আছে প্রায় ২ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, কারফিউ ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। সে দেশের বিভিন্ন সংগঠন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগের মতো পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়ে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।