Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের আলফিকে গ্রেপ্তার

Icon

বেরোবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৩

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের আলফিকে গ্রেপ্তার

কলেজের শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিম।

রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় রংপুরের পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বোন সানজানা আক্তার স্নেহা।

আলফি শাহরিয়ারের বোন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ১৮ তারিখ সে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হলে জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিত, তখন বন্ধুদের সাথে মিছিলের মাঝে জড়িয়ে পড়েন এবং পুলিশের টিয়ারশেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যান। পরবর্তীতে আমরা ১৮ তারিখ আনুমানিক ৪টায় ওর বন্ধুদের থেকে জানতে পারি তার পায়ে রাবার বুলেট লেগেছে, সেখানকার স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত সব হাসপাতাল খুঁজেও যখন পাচ্ছিলাম না তখন বাবার কাছে একটা কল আসে, তারা জানায় আপনার ছেলে আমাদের হেফাজতে আছে। তাকে আগামীকাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পরের দিন (১৯ জুলাই) সকালে আমরা খোঁজ নিলে তারা অস্বীকার করে বলেন, তাদের কাছে এই নামে কেউ নেই। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় কোর্ট থেকে কল আসে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কোর্ট থেকে নথিপত্র নিয়ে জানলাম তাকে আবু সাইদ ভাইয়ের হত্যা মামলায় কারাগারে দেওয়া হয়েছে। সেদিন থেকে বার বার কারাগারের দরজা থেকে ফিরে এসেছি। একটাবার দেখা তো দূরে থাক তার কণ্ঠও শুনতে দেয়নি কেউ।

আলফি শাহরিয়ারের বোন সানজানা আরো লিখেছেন, আদালত তার মামলা কিছুতেই শিশু কোর্টে দিতে চায়নি। অনেক চেষ্টা করে গত ৩০ জুলাই শিশু কোর্টে নেওয়া হলে ডেট দেয় আগামী ৪ আগস্ট। ৪ তারিখ কী রায় দেবে আমার জানা নেই। তবে আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই, বেকসুর খালাস দেওয়া হোক এটা চাই। যে ছেলেটা লিগাল ডকুমেন্টস অনুযায়ী শিশু, এমনকি মামলায় প্রদত্ত ঘটনার সময় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তাকে তারা কোন হিসেবে এভাবে হ্যারাস করাচ্ছে? সব থেকে বড় কথা তার গায়ে কলেজ ড্রেস ছিল, আইডি ছিল, সে পুলিশদের ইনস্টিটিউটেরই ছাত্র। এক্ষেত্রে কি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, সহপাঠী, আইনজীবী কারো কিছুই করার নাই? আমার ভাইকে কোন লজিকে তারা আটকে রেখেছে, দেখাও করতে দিচ্ছে না!

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সানজানা আক্তার স্নেহা বলেন, “আমরা আজকে অন্যভাবে চেষ্টা করছি। আজ আমরা কথা না বলি।”

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাঈদ হত্যা মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়া এ নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

যোগাযোগের এক ঘণ্টা পর পুলিশ কমিশনার আবার কল দিয়ে বলেন, “১৮ তারিখ তাজহাট থানায় আক্রমণ করা হলে একজনকে আটক করা হয়। তখন ভয়ে বলেনি যে, সে শিক্ষার্থী। এই বিষয়টা আমরা সহানুভূতির সঙ্গে দেখব।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫