
প্রতীকী ছবি
ঝিনাইদহে প্রতিবেশীর ডাকে সারা দিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী।
গত রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ইদ্রাকপুর দাসপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মহেশপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে ঘা-ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেবু দাস ও তার স্ত্রী পূর্ণিমা রানীর পরিচিত হওয়ায় একে অপরের বাড়িতে প্রায় যাওয়া আসা করতেন। রবিবার সকালে পূর্ণিমা রানী ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে অচেতন করে একটি কক্ষে আটকে রেখে ইদ্রাকপুর গ্রামের সোবাহান আলীকে দিয়ে ধর্ষণ করান। পরে বিকালে ওই কিশোরী বাড়িতে যেয়ে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলেন। পরে তারা স্থানীয় লোকজন নিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে পূর্ণিমা রানী ও তার স্বামী দেবু দাস তাদেরকে হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় দাসপাড়া গ্রামের রবীন ঠাকুর, সূলীল দাসসহ কয়েক জন জানান, পূর্ণিমা রানী এই গ্রামের বউ (পুত্রবধূ) সে নিজে খারাপ এটা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে লোক দিয়ে খারাপ কাজ করাবে এটা আমরা মানবো না। তারা আরো বলেন আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই, তা না হলে এই পাড়াটা নষ্ট করে ফেলবে পূর্ণিমা রানী ও তার স্বামী দেবু দাস।
কিশোরীর পিতা জানান, আমি আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। যারা আমার মেয়ের এ ক্ষতি করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।