পাবনায় গুলিতে ৩ শিক্ষার্থী নিহত, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৫৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ।
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণে তিন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আজ রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ঘটনার পর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- হাজীরহাট এলাকার কিশোর আবুল কালামের ছেলে আরাফাত হোসেন মাহবুবুল (১৬), বলরামপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন (১৭)। আহতরা চিকিৎসাধীন। নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় হাজারো শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলিবর্ষণ করেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ খানসহ তার নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদুল, মাহবুবুল ও ফাহিম নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হন।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে সাময়িক সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে আবারো জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তি পূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এসময় পেছন দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কারা গুলিবর্ষণ করেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৪০-৬০ জন ভাই আহত হয়। তাদেরকে আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এসময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।