শেরপুর শহর সুন্দর রাখতে কাজ করছেন একঝাঁক তরুণ সাথে শহর যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ক্লিন আপ শেরপুর, আজকের তরুণ ছাড়াও অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ভলান্টিয়ার মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। যারা ছিলেন কলম হাতে নিজের সুন্দর জীবন গঠনের পথে, তারা এবার নামলেন সুন্দর শহর গড়তে।

সরকার পতনের পর দেশে চলমান অস্থিরতায় শেরপুরে শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছেন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে। শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে নিজ সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে তারা। এসময় যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধও করছেন।

গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সমাজ-কর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন  চলাকালে সড়কে পড়ে থাকা আবর্জনা দল বেঁধে পরিষ্কার করছেন শিক্ষার্থীরা ও ভলান্টিয়াররা।

পাশাপাশি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচলে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার অনুরোধ করতে দেখা যায় তাদের।

শিক্ষার্থী ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ভোরের আকাশকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা চাই এখন সুন্দরভাবে দেশ চলুক। দেশের এ পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থী ও ভলান্টিয়াররা সাধারণ মানুষের পক্ষে সব সময় ছিলাম এখনো আছি। সবাই সচেতন হলে একটি সুন্দর দেশ গঠন করা সহজ হবে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘোষণা দিয়েছেন- শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। কর্মসূচিতে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো টিম বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সাধ্যমতো পাশে থাকব।