শেরপুরে কোটা আন্দোলনে ২ শিক্ষার্থী হত্যায় পৃথক মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১২

আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে নিহত ৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রশাসনের গাড়ি চাপায় ও আওয়ামী লীগের গুলিতে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পৃথক মামলা করা হয়েছে।
নিহত দুই শিক্ষার্থীর স্বজনেরা বাদী হয়ে গত ১২ আগস্ট শেরপুর সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ আসামি করা হয়েছে অন্তত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে। ৪ আগস্ট শেরপুরে মোট তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত ৪ আগস্ট শেরপুরে অসহযোগ আন্দোলনে রাস্তায় নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুপুরের দিকে শহরের কলেজ মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসনের একটি পিকআপ দ্রুতবেগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর উঠিয়ে চলে যায়। এসময় গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আইটি উদ্যোক্তা মাহবুব আলম। তিনি সদর উপজেলার তারাগর কান্দাপাড়া গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে।
অন্যদিকে বিকেলে শহরে বিক্ষোভ চলাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ছানু এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ন কবীর রুমানসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছোড়ে। এসময় আরো চার শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তারা হলেন- শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসিন্দা তুষার আহমেদ, শহরের মীরগঞ্জ এলাকার মীম আক্তার, শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামের সবুজ আহমেদ ও ঝিনাইগাতি উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের শারদুল আশীস সৌরভ।
এরমধ্যে সবুজ আহমেদের সহোদর ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ছানোয়ার হোসেন ছানু, হুমায়ন কবীর রুমানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো অন্তত ৪-৫শ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১২ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে শাহবুব আলমের মা মাহফুজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পৃথক আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পৃথক এ মামলা দুটিতে এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।