Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

নয়াপল্টন থেকে চেয়ারম্যানকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গেল শিক্ষার্থীরা

Icon

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩০

নয়াপল্টন থেকে চেয়ারম্যানকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গেল শিক্ষার্থীরা

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলকে আটক করেছে ছাত্র-জনতা। ছবি: মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মালয়েশিয়া পালানোর জন্য পাসপোর্টের ভিসা ইস্যু করতে গিয়ে ঢাকার নয়া পল্টনের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সামনে থেকে সদ্য অপসারণ করা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেলকে আটক করেছে ছাত্র-জনতা।

গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) আটকের পর তাকে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে সেনাবাহিনীর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ওই সময় নাজমুল হাসান সোহেলের উপস্থিততে হামলাকারীদের গুলিতে ৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। ওই ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণের ভিডিও দেখে সোহেলকে দেখে চিনে ফেলে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করে ছাত্র-জনতা। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। 

শিক্ষার্থীরা জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি মুন্সীগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সদরের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টে ভিসা ইস্যু করতে ঢাকার নয়াপল্টনের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে অবস্থান নেয়। সোহেল এজেন্সি থেকে বের হওয়ার পরই তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার সাথে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, নাজমুল হাসান সোহেল মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের বিশ্বত সহচর। ৪ আগস্ট শহরের সুপার মার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় সোহেলকে। ঘটনার দিন সকালে সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের পুত্র মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন ২-৩ হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী। ৬ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়। এছাড়া অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন শতাধিক।

এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে সোহেলকে আটক করার কথা শুনেছি। তবে কে বা কারা আটক করেছে তা অবগত নই।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫