
নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা।
নাটোরে ডিজিটাল মিটার বাতিলসহ ৭ দফার দাবিতে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা। এসময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে ছাত্র-জনতা ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার (২০ অগাস্ট) দুপুরে শহরের আলাইপুর এলাকায় নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে ছাত্র-জনতার এই ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে এ কর্মসূচি। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখোর হয়ে যায় পুরো এলাকা।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ ও শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকেন প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে। এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের প্রধান গেটে ঘেরাও করে রাখে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।
মো. সুজন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা এ রাক্ষুসি ডিজিটাল মিটার চাই না। এ মিটারের মাধ্যমে মানুষকে ফকির বানানো হচ্ছে। ৫০০ টাকা মিটারে তুললে সঙ্গে সঙ্গে ১৫০ টাকা কেটে নেয়। সেজন্য আমরা এ মিটার বাতিল চাই এবং পূর্বের মিটার আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, আমরা মিটারে টাকা তুলতেই নাই হয়ে যায়। প্রতি মাসে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা তুললেও মাস যেতে চায় না। আমাদের পরিবার টাকা তুলতে তুলতে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। সেজন্য দুর্নীতিবাজ এ নেসকোর অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা দেশের সব ক্ষেত্রে সচ্ছলতা চাই।
বাবু নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, এই রাক্ষুসে মিটার বন্ধ চাই। আমরা টাকা তুলে কুলাইতে পারি না। খাবো না মিটারে টাকা তুলবে। আমরা সেজন্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ আজ প্রতিবাদ করতে অফিসারের অফিস ঘেরাও করছি। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা কর্মসূচি বন্ধ করেছি। এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে সেনাবাহিনী।
শিক্ষার্থী সাকিল হোসেন বলেন, দেশকে দ্বিতীয় বার স্বাধীন করেছি, যেন দেশে কোনো বেআইনি কিছু না হয়। বিদ্যুৎ অফিসের এ রাক্ষুসে ডিজিটাল মিটার অবিলম্বে বাতিল চাই। আগের মিটার ফিরত চাই।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাদাদ বলেন, আপনাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা ৭ দিন সময় দিন। আমরা আপনাদের সকল দাবি ৭ দিনের মধ্য পূরণ করবো। আপনারা শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যান। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি।