খাগড়াছড়িতে বন্যা: সাজেকে আটকা পরেছে ২৫০ পর্যটক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৪৯
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ি -সাজেক সড়কের একাধিক অংশ।
অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ি -সাজেক সড়কের একাধিক অংশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল থেকে সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ একাধিক অংশ ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে সড়কটিতে পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সকল ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকে বেড়াতে এসে আটকা পরেছে অন্তত আড়াইশ পর্যটক।
দীঘিনালার কবাখালিতে আটকা পরা পর্যটক আমিনুল ইসলাম ও ওয়াহিদ কবির জানান, আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি। বন্যা খবর জানতাম না। এখন আটকা পরেছি। সড়কের দুই তিন জায়গায় পানি উঠেছে। এতো দূর বাইক জার্নি করে আসার পর সাজেক যেতে পারছি না। আজ দীঘিনালায় অবস্থান করব। পানি কমলে কালকে সাজেক যাব।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং ও কবাখালি অংশে পানি উঠে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ আছে। এতে আটকা পরেছে ২৫০ জন পর্যটক। তাদের আজকে ফিরতে পারবে না।
এদিকে চেঙ্গী নদীর পানি কমে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ির শহর তলীর এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় স্থানীয়রা দুর্ভোগে পরেছে।
খাগড়াছড়ি পৌর শহরের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা শান্ত ইসলাম, তোফায়েল মিয়া বলেন, আমাদের এখানে কয়েক দফায় বন্যা হয়েছে। তবে এবার এখনো কোন ত্রাণ সহায়তা বা খাবার পায়নি।
খাগড়াছড়ির পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তবে এখনো অপরিবর্তিত দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার পানিতে ডুবে আছে মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম। এদিকে পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙ্গামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। মাইনী নদীর পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনো মেরুং বাজার পানির নিচে।
গত রাতে বন্যা দুর্গতদের গরম খাবার বিতরণ করছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।