ছাত্রদল নেতা হত্যা: সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ৯ দিনের রিমান্ডে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১০

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলায় সাবেক এমপি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমানের আদালতে তাকে হাজির করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৯দিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে, ক্যাপ্টেন অব. তাজুল ইসলামকে রাজধানীর গুলশান তার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ হামলা করলে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের স-সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন গুলিবিদ্ধ হন। নয়নকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান। এই ঘটনা নিহত নয়নের বাবা রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে প্রধান আসামি করে এসপি আনিসুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত।
এর আগে, একই বছর ২০ নভেম্বর এই ঘটনায় পুলিশ এসআই আফজাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা, পুলিশের কর্তব্যে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও সরকারি সম্পদের ক্ষতির অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় ১৭জন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক এমপি ক্যাপ্টেন অব. এবি তাজুল ইসলামকে। বুধবার বিকেলে ক্যাপ্টেন তাজকে আদালতে তোলা হলে বিএনপির বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত হন। এসময় ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৯দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে এই সময় তাজের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও রিমান্ডের বিরোধিতা কেউ করেননি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন ও তারিকুল ইসলাম রোমা বলেন, ছাত্রদলের নয়নকে আওয়ামী ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় হত্যা করেছিল। তখন আদালতে একটি মামলা দায়ের করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। এই ক্যাপ্টেন তাজের নির্দেশে মামলাটি খারিজ হয়। এখন মুক্ত পরিবেশ হওয়ায় পুলিশের মামলায় ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত ৯দিনের রিমান্ড দিয়েছে।