Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

‘জীবনে এত পানি আগে দেখিনি’

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৫:০৭

‘জীবনে এত পানি আগে দেখিনি’

বন্যাকবলিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সত্তর বছর বয়সী ননী বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বন্যাকবলিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর উচ্চবিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সত্তর বছর বয়সী ননী বেগম। তার ঘরবাড়ি, ছেলের ফসলের ক্ষেত সব বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের ভেতর বুক সমান পানিতে তার সাধের সংসার ভেসে গেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে বন্যাকবলিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে নির্বাক চোখে সামনের বিস্তৃন এলাকা জুড়ে দখল নেয়া বন্যার পানির দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ৭০ বছর বয়স আমার। এর আগেও অনেকবার এ রকম বৃষ্টি দেখেছি। দিনের পর দিন বৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু কোনোবার এত পানি দেখিনি। কখনো নিজের বাড়ি ছেড়ে কোথাও আশ্রয় নিতে হয়নি।

জানা গেছে, ননী বেগমের মতো অন্তত ৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে একলাশপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান সড়কের পূর্ব পাশের তিনতলা ভবনটিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয় ভবনটির নিচতলায়ও পানি ঢুকে পড়েছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া এক নারী প্রথম আলোকে বলেন, আশ্রয় নেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলে এই ভবন ছেড়ে অন্য কোনো ভবনের দিকে ছুটতে হবে সন্তানদের নিয়ে।

বিদ্যালয় ভবনটির নিচতলায় আশ্রয় নেওয়া নাজনীন বেগম বলেন, তারা দুই পরিবারের ১২ সদস্য গতকাল বুধবার রাতে এই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। নিজেরা বাজার থেকে শুকনো খাবার কিনে এনে খেয়েছেন।

অনেককে দেখা যায় রান্না করতেও। ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেওয়া নুরজাহান বেগম বাজারের দোকান থেকে গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার নিয়ে এসেছেন রান্না করতে। নুরজাহান বলেন, উপায় না দেখে একজনের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলা কিনে এনেছেন। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে তো আর না খেয়ে থাকা যায় না। তাঁর বাড়ি এর আগেও বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে, কিন্তু এবারের মতো পানি তিনি জীবনেও দেখেননি।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কমপক্ষে আড়াই হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি দেখভাল করছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫