
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: সংগৃহীত
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। তাকে হাসপাতালের একটি নিবিড় পরিচর্যা কক্ষে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, শামসুদ্দিন মানিকের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। পরে একটি কেবিনে নেওয়া হবে। যা প্রিজন সেলে হিসাবে ব্যবহার হবে। পূর্ণ সুস্থ হলে তাকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট অবৈধভাবে সিলেটের কানাইঘাটের দনা সীমান্ত দিয়ে মানিক ভারতে পালিয়ে যান। এসময় পাচারকারীরা মানিকের সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তখন তাকে কলা পাতার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চলে যায়। ওই রাতে মানিক জঙ্গলে একাই রাত কাটান। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে গত শনিবার ভোরে কানাইঘাট থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।
ওইদিন বিকালেই মানিককে আদালতে তোলা হয়। এসময় আদালত চত্বরে তার উপর বিক্ষুব্ধ জনতা ডিম, জুতা নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং অণ্ডকোষে রক্তক্ষরণ হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে রাতেই তার অস্ত্রোপচার হয়। এছাড়া তিনি উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে জানালে বিভ্রান্তি দূর হয়।