ঝিনাইদহে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর আটক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৯

প্রতীকী ছবি।
ঝিনাইদহের কোটচঁদপুর পল্লিতে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুরকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার অপর আসামী শাশুড়ি পলাতক রয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পৌর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, গত ১ বছর আগে মোস্তফা কামালের ছেলে রিয়াজের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমি স্বামীর সাথে আমার শ্বশুর বাড়ীতে থাকতাম। এরপর থেকেই আমার শ্বশুর বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিতেন।
ঘটনার একদিন আগে আসামি হঠাৎ আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেন। সে সময় আমি ঘটনার বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে, তারা আমার কথা বিশ্বাস করেননি। এমনকি আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
তিনি বলেন, গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে আমার স্বামী ও শ্বাশুড়ি কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামে বেড়াতে যান। ওই রাতে এশার নামাজ পড়ে রাত ৯ টার দিকে আমি আমার ঘরে ঘুমাতে যায়। সে সময় মোস্তফা কামাল আমার ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জড়িয়ে ধরলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে সময় আমি চিৎকার করতে গেলে আসামি মোস্তফা কামাল গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ছেলের বউ অভিযোগ করে বলেন, এ সব ঘটনা আমার শ্বাশুড়ি সব জানতেন এবং এ তিনি কাজে সহযোগিতা করেছেন। ওই ঘটনায় গেল ২৪ তারিখ ছেলের বউ বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার শ্বশুর মোস্তফা কামালকে আটক করেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। তবে আটক করতে পারেনি শ্বাশুড়ি রাবেয়া খাতুনকে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আল- মামুন বলেন, ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ওই মামলায় স্বামী- স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে হয়েছে। এরমধ্যে স্বামী মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামি ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।