লালমনিরহাটের সাবেক দুই এমপির নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৩

মতিয়ার রহমান ও সফুরা বেগম রুমি। ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাট সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমিসহ ৯৯ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০ জনকে আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দু’টি মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার মহেন্দ্রগর ও হারাটী ইউনিয়ন বিএনপি অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ ঘটনায় ওই মামলা দুইটি করা হয়। হারাটী ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল হাকিম খান ও আব্দুল ওহাব মণ্ডল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, হারাটী ইউনিয়ন বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলাটি বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক দ্রুত বিচার আইনে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে রেকর্ডভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। অপর মামলাটি গত ৪ সেপ্টেম্বর হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা গত ৫ই জুলাই রাত ১০টায় হারাটী ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে। অপরদিকে ৬ই জুলাই রাত ৯টায় মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপি অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করে দেয়ালের পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। এই দুই ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ (সংশোধন-২০১৯) এর ৪/৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৯৯ জন নামীয় আসামি ছাড়াও আরও ৪শ’ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
আসামিরা হলো- আওয়ামী লীগ নেতা তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোড়ল হুমায়ন কবির, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খান, অধ্যাপক মো. সাজ্জাত হোসেন শিমুল, জাপা নেতা আশরাফুল আশেকিন রতন, বড়বাড়ী আইর খামারের এসএম আশরাফুল হক মিঠু, মো. কাশেম আলী ডিলার, সুমন সওদাগর, আপেল খান, এডভোকেট রকিবুল ইসলাম খান রুকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট শরিফুল ইসলাম রাজু, জাপা নেতা আব্দুস সালাম সরকার প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগে প্রবীণ কয়েকজন নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৩টি হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলাগুলো মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। এসব মামলা টিকবে না।
সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, আদালত থেকে মামলাগুলোর আদেশ থানায় এলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।