
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনকে অবশেষে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রস্তাবের দুই ঘণ্টার মাথায় শুক্রবার( ১ মে) বিকেলে দলের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা জানান, সরিষাবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোকনের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নিজের খেয়ালখুশি মতো কাজকর্ম, করোনার ত্রাণ বিতরণে স্বেচ্ছাচারিতা, দলের ভাবমূর্তি বিরোধী কাজের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে রুকনের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুধীমহল। একই সাথে মেয়র পদ থেকে তাকে অপসারণ, নানা অনিয়মের দায়ে তাকে গ্রেফতার ও তার ক্যাডারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার দুপুরে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলর একযোগে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়রকে অনাস্থা দেন। এ সময় তারা মেয়রের বিরুদ্ধে ত্রাণ, এডিপি, কবরস্থান ও বাস টার্মিনাল বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারি, কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, টেণ্ডারবাজি, অস্ত্রের মহড়া, নিজের গুম নাটক, কাউন্সিলর ও স্টাফদের মাসিক বেতন-ভাতা না দেয়া, কাউন্সিলর ও সাধারণ নাগরিকদের হয়রানীসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
তার পর মেয়র রোকন বাসায় পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কান্নার অভিনয় করে আপত্তিকর নানা মন্তব্য করেন। এটা মেয়র নিজের ফেসবুক লাইভে প্রচার করলে এলাকায় বিভ্রান্তি ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে দলিয় সিদ্ধান্তে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
সচেতনমহলের ধারণা, পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়রের সাজানো নাটক ও তৈলবাজ লোকদের ফাঁদে পা দেয়াই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।