Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে কৃষকদল নেতার সংবাদ সম্মেলন

Icon

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪২

বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে কৃষকদল নেতার সংবাদ সম্মেলন

কৃষকদল নেতার সংবাদ সম্মেলন।

ময়মনসিংহে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে বহিষ্কার হওয়া জেলা উত্তর কৃষকদলের সদস্য সচিব শাহ মোহাম্মদ আলী নিজের পদ ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১২ টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মোহাম্মদ আলী।

মামলা প্রত্যাহার করায় গত ২৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় কৃষকদল বহিষ্কার করে মোহাম্মদ আলীকে৷ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব শাহ মুহাম্মদ আলীকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।

গত ২০ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ফুলপুর পৌর শহরে সাইফুল ইসলাম (৩৭) নামের এক কৃষক ধান বিক্রি করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের চক ঢাকির কান্দা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলীর ছেলে। ওই ঘটনায় ২০ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন শাহ মুহাম্মদ আলী। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলাটিতে বিএনপির তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকেও আসামি করা হয়। কিন্তু বাদী বিষয়টি টের পেয়ে এবং মামলার বিষয়ে দল কোনো দায় না নেওয়ায় ২৫ আগস্ট বাদী আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত আবেদন আমলে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমাকে বাশার আকন্দ (জেলা উত্তর কৃষক দলের আহ্বায়ক) বলেছিলেন দলীয় সিদ্ধান্তে মামলাটি হচ্ছে। কাগজ রেডি করে আমার কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তখন মামলায় কাদের আসামি দেওয়া হয়েছে তাও পড়তে পারিনি। মামলার কাগজ আদালতে জমা হওয়ার পর আমি পাই৷ কাগজে দেখতে পাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনজন ও একজন ব্যবসায়ীকে প্রতিহিংসামূলক আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি বাশার আকন্দের কাছে জানতে চাইলে জানানো হয়- এটি দলীয় কোনো বিষয় না। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা মামলার বিষয়ে কিছু জানেননা জানায়। এ পরিস্থিতিতে আমি বিপাকে পড়ে যাই। আমি ব্যক্তিগতভাবে শত্রুতা কিনতে চাই না। তাই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করি।

শাহ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো কাজ কোনদিন করিনি। তারপরও আমাকে কোন ধরনের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে পদ ফেরত চাই। মামলা যেহেতু দলীয় নয়, বাশার আকন্দের সিদ্ধান্তে তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হল কিভাবে? 

জেলা উত্তর জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবুল বাশার আকন্দের ভাষ্য, দলের সঙ্গে বেঈমানি করার কারণে তাকে (মোহাম্মদ আলী) বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলা আমি রেডি করে দিইনি। যেহেতু দলীয়ভাবে মামলা করা হয়, দল রেডি করে দিয়েছে।

তবে জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, কৃষকদল নেতার মামলাটি দলীয় কোন সিদ্ধান্তে হয়নি। বাশার আকন্দের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তে মামলাটি হয়। মামলায় বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়। এসবের কারণে বাশার আকন্দেরও বহিষ্কার হওয়া উচিত। এর আগেও বাশার আকন্দ দীর্ঘদিন দল থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন যোগ করেন এই নেতা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫