Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠন করতে চান জ্বালানি উপদেষ্টা

Icon

খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১১

বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠন করতে চান জ্বালানি উপদেষ্টা

খুলনা পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আমরা বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে পুনর্গঠন করতে চাই। বিদ্যুৎখাতে অনিয়মের কাঠামো ভেঙ্গে দিতে চাই। এখানে ঘটা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে। মনে রাখতে হবে এটা একটি নতুন বাংলাদেশ। এখানে সবার সমান সুযোগ। সংকট যেমন আছে সমাধানও তেমন আছে।

আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি একথা বলেন। পরে উপদেষ্টা পাওয়ার প্ল্যান্টের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন।

উপদেষ্টা বলেন, এতদিন আমাদের দেশে একটি উন্নয়নের কাহিনী পড়া হচ্ছিল যে, বাংলাদেশে আমাদের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি বাড়ছে এবং আমরা নিন্মআয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছি। এখন দেখা যাচ্ছে এটা একটা ভ্রান্তি। খুলনায় প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পাওয়ার প্ল্যান্ট হয়েছে, যা জাতীয় জিডিপিতে যুক্ত হয়েছে। জিডিপি বাড়লেও গ্যাসভিত্তিক এ পাওয়ার প্ল্যান্ট সহসা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা তো অনেক আগে থেকেই জানতাম বাংলাদেশে গ্যাসের রিজার্ভ কমে যাবে, এখান থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে আট হাজার কোটি টাকা খরচ হলো কিন্তু মানুষ এটা থেকে কোন উপকার পাচ্ছে না। এটাই হলো উন্নয়নের ভ্রান্তি।

রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মেলনকক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে জ্বালানি উপদেষ্টার মতবিনিময় সভা।


উপদেষ্টা আরো বলেন, মানুষের জীবনের কী উন্নতি হয়েছে তা দিয়ে উন্নয়নকে পরিমাপ করতে হবে। খুলনার এই পাওয়ার প্লাটের নিকটে কেবল ভোলাতে গ্যাস আছে যা অপর্যাপ্ত। এখানে প্রয়োজন ১৪০ এমএমসিএফ গ্যাস কিন্তু ভোলাতে অতিরিক্ত আছে কেবল একশত এমএমসিএফ গ্যাস। তিন বছর সময় নিয়ে নতুন পাইপলাইন করে এ গ্যাস খুলনায় আনলেও সেটা পর্যাপ্ত হবে না। তবুও এ পাওয়ার প্ল্যান্টেকে কিভাবে আংশিকভাবে সচল করা যায় সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. রেজাউল করিম, খুলনার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইউসুপ আলীসহ বিদ্যুৎ ও জালানিখাতের কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

দুপুরে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জনপ্রতিনিধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা, স্থানীয় সুশীল সমাজ, ছাত্র সমন্বয়ক ও প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপদেষ্টা অংশগ্রহণকারীদের পরামর্শ ও অভিযোগসমূহ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন। এ মতবিনিময় সভায় স্বাগত জানান খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫