ভ্যানে লাশের স্তূপ: ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০০
-66d473891dd61.jpg)
ভ্যানে লাশের পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা। ছবি: সাভার প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়া থানা সংলগ্ন এলাকায় ভ্যানে লাশের স্তূপ করার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে আশুলিয়া থানা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনায় অ্যাডিশনাল এসপি ও ডিএসবি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে কমিটির সদস্যদের নাম জানাননি তিনি।
এসপি বলেন, ভাইরাল ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের জায়গা থেকে যেটি করণীয় আমরা তা করছি। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন। আমরা সবার সহযোগিতা চেয়েছি। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কারা উপস্থিত ছিলেন সেটিও পাওয়া গেছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নামগুলো প্রকাশ করছি না। খুব শিগগিরই আপনাদের সামনে তা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, যেগুলো ভিডিওতে এসেছে সেগুলো দেখেছি, তবে ফিজিক্যাল এভিডেন্স এখনো পাইনি। এগুলো নিয়েও আমাদের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই গতকাল একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে। আমরা এটি নিয়েও কাজ করছি। আশা করছি, খুব ভালো একটা রেজাল্ট আসবে।
জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি আরো বলেন, যে অপরাধী সে যেই হোক তার নামে মামলা হবে। পুলিশ আইনের বাইরে নয়।
তিনি বলেন, শুধু ছাত্র-জনতা না, আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যকেও আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ হত্যার মামলাও হবে। প্রধান উপদেষ্টার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাথায় পুলিশের হেলমেট পরা ও সাদা পোশাকের ওপর পুলিশের ভেস্ট পরা এক ব্যক্তি আরেকজনের সহায়তায় চ্যাংদোলা করে নিথর এক যুবকের দুই হাত ধরে ভ্যানের ওপর তুলছেন। ভ্যানের ওপর আরো কয়েকটি নিথর দেহ স্তূপ করে রাখা। দেহগুলো থেকে ঝরে পড়া রক্তে ভিজে গেছে সড়কের কিছু অংশ। বিছানার চাদরের মতো একটি চাদর দিয়ে তাদের ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশেই পুলিশের হেলমেট, ভেস্ট পরা আরো কয়েকজনকে দেখা যায়।
এএফপির ফ্যাক্ট-চেকিং এডিটর কদরুদ্দীন শিশির তার ফেসবুক টাইমলাইনে ঘটনাটি ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার নিকটবর্তী এলাকায় বলে উল্লেখ করেন।