ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম আমদানি

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৫১
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মুরগীর ডিম আমদানি করা হয়েছে। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে (৪০০ কার্টুন) ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগীর ডিম আমদানি করা হয়েছে। এই প্রথম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হলো।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো খালাস দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কাস্টমস সূত্র জানায়, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটিসহ প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই ভারতীয় এক ট্রাকে (৪০০ কার্টুন) ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগীর ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করনের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের ডকুমেন্টস পেয়েছি। পরীক্ষণ শেষে ডিমের চালানটি দ্রুত খালাস দেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে ডিমের চালানটি গতকাল সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আজ সোমবার ডিমের চালানটি খালাসের জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করেছে। পণ্য চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।