রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে গণপূর্ত অফিস ঘেরাও

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:২২

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের (রাঙ্গামেক) স্থায়ী ক্যাম্পাস দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণপূর্ত ভবন ঘেরাও করে অবস্থান করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গণপূর্ত ভবনের সামনে এসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
এসময় গণপূর্ত ভবনের প্রধান ফটক ঘেরাও করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাঙ্গামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমার অফিস রুমে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেল কলেজটির যাত্রা দীর্ঘ ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু হয়নি স্থায়ী ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের থাকার মতো নেই আবাসিক পর্যাপ্ত হোস্টেল। প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও এখনো চালু করা হয়নি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় একই ছাদের নিচে চলছে ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসের কার্যক্রম। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি, আধুনিক ল্যাব ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, একই সঙ্গে শুরু হওয়া অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারলে আমরা কেন এত বছর পরেও আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারতেছি না। শুধু আশ্বাস পেয়েছি কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা কেন বঞ্চিত, আমাদের বেলায় কেন এই বৈষম্য?
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ মাশরাফী, সালমা আফরিন অমি, আশরাফুল ইসলাম, মো. তানভীর হোসাইন, অর্ণব চাকমা, উহাই মং, ফেরদৌস আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পর রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনারি বিভাগের পাঁচতলা ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হয়। এখনো সেই অবস্থান পরিবর্তন হয়নি।
জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগ রাঙ্গামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমা বলেন, আমরা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠিয়েছি। প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে কারেকশন করার কথা বলা হলে পরবর্তীতে সেভাবেই আবারও পাঠানো হয়েছে। এখন ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে।