বিগত ১৬ বছরে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় যারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের মধ্যে এখনো আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি পাঁচজন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে রয়েছে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ এবং মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের নাম।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এখনো জমা না হওয়া ওই পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী) নাফিসুর রহমান।

বরিশালের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বেসামরিক জনগণকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বরিশাল মহানগরসহ জেলায় ১৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে লাইসেন্সগুলো স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্রগুলো জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে এখনো পাঁচটি অস্ত্র জমা দেননি সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর কনিষ্টপুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদ্য সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, নগরীর বাসিন্দা সাব্বির আহম্মেদ, এজাজুল হক ও মনিরুল ইসলাম নামের ব্যক্তি তাদের অস্ত্র জমা দেননি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নাফিছুর রহমান বলেন, ‘জমা না দেওয়া পাঁচটি অস্ত্রের মালিকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা নিজ উদ্যোগে অস্ত্রগুলো জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অস্ত্রগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।’