Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

৫০০ টাকা হাজিরার কর্মচারী এখন কোটি টাকার মালিক

Icon

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৯

৫০০ টাকা হাজিরার কর্মচারী এখন কোটি টাকার মালিক

ল্যাব সহকারী শামীম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের  (এলজিইডি) মাস্টার রোলে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি করে কোটিপতি বনে গেছেন শামীম হোসেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শামীম হোসেন প্রায় ২০ বছর আগে মানিকগঞ্জ এলজিইডিতে দৈনিক ৮৮ টাকা বেতনে চাকরি নেন। তিনি এখনও মাস্টার রোলে একই পদে চাকরিতে বহাল আছেন। দৈনিক ৮৮ টাকা বেতনে যোগদান করার পর বর্তমানে তার বেতন ৫০০ টাকা হয়েছে। তার এই পদে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাও নেই। এমনকি শুক্রবার এবং শনিবার ল্যাবে কাজ না করলে বেতন পান না তিনি।

দৈনিক বেতনে ল্যাব সহকারী পদে চাকরি করে মানিকগঞ্জ শহরের বুকে ৬ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তুলেছেন একটি দুইতলা ভবন এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে একই এলাকায় ৭ তলা ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, এলজিইডির ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটিপতি হয়েছেন তিনি।

শামীম হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের রহদহ গ্রামের মৃত রাশেদ খানের ছেলে। তার বাবা ছিলেন কৃষক। তার বড় ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। 

এলজিইডি মানিকগঞ্জের ল্যাব সহকারী শামীম হোসেন বলেন, আমি ছোট একটা দুইতলা বাড়ি করেছি। আর ৭তলা ভবনটি আমরা আত্মীয় স্বজন মিলে পার্টনারে করছি। আমি এলজিইডিতে ১৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাই। আমার গ্রিল ওয়ার্কসপের দোকান আছে। আমার স্ত্রীর নামেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই লাইসেন্স দিয়ে এলজিইডি, গণপূর্তে অনেকেই ঠিকাদারি করেন। এর একটি অংশ আমি পাই।

এলজিইডি মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম বলেন, শামীম এলজিইডিতে চাকরি করেন। তিনি কাজ করলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া তার আর কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তিনি যদি অনৈতিকভাবে বাড়ি-গাড়ি সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫