আন্দোলনে গুলিবিদ্ধের ৫০ দিন পর রাতুলের মৃত্যু, দাফন সম্পন্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:২৬
-24-09-2024-66f293d6b94d3.jpg)
জুনায়েদ ইসলাম রাতুলের জানাজা। ছবি: বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জুনায়েদ ইসলাম রাতুলের নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১০টায় নামাজগড় আঞ্জুমান-ই গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
গত ৫ আগস্ট বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়েছিলেন উপশহর পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার মিছিল যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যাচ্ছিল সে সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন রাতুল। প্রথমে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৫০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাসপাতালে মারা যান রাতুল। রাতুল তার পরিবারের সঙ্গে বগুড়া শহরের হাকিরমোড় এলাকার ঘুনপাড়ায় থাকতেন।
জানাজা নামাজে অংশ নেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান হিমু, পরিবারের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমান, আমির হামজা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্র মৈত্রী সফর প্রতিনিধি দল সদস্য ফয়সাল আহমেদ, ইমাম হোসাইন ইমন।
এসময় বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান ও সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।