Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

৩ সন্তানের জননীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:০৬

৩ সন্তানের জননীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৩ সন্তানের জননী শারমিন আক্তারকে (৩০) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ। এর আগে, গত ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্ব চরবটা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরমজিদ গ্রামের আব্দুল হাদিগো বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।  

নির্যাতিতা শারমিন আক্তার অভিযোগ করে জানান, ১২ বছর আগে পারিবারিকভাবে একই ওয়ার্ডের নুরনবীর সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামী শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালান। তার এক মেয়ের হার্টের সমস্যা থাকায় ৫০ হাজার টাকা দরকার ছিল। এজন্য স্থানীয় কয়েকটি বাজারে ভিক্ষা করে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করেন। ভিক্ষা করে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে স্বামী পর-পুরুষের সাথে সম্পর্কের অভিযোগ তুলে প্রায় গালমন্দ করতেন। এভাবে পারিবারিক কলহ দেখা দিলে কিছু দিন আগে কাজের সন্ধ্যানে তিনি ঢাকায় যান। পরে স্বামীর পরিবারের লোকজনের কথায় পুনরায় ফিরে আসেন।

তিনি বলেন, গত ১৩ আগস্ট রাতে শ্বশুর বাড়ির পাশের বেলাল সওদাগর নামে এক ব্যক্তি ভরসা দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে প্রথমে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন। এরপর ওই দিন রাত ১২টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শ্বশুর আব্দুল হাদি, জা কুলসুমা, নার্গিস, ভাসুরের ছেলে শেখ ফরিদ, হাসান, ভাগনে রাসেল, স্বামী নুরনবী ও তার বোন ছাহেরা খাতুন আমার হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। আমি এতিম, আমার মা-বাবা কেউ নেই। আমার খালাতে ভাইয়েরা আমাকে লালন-পালন করে বিয়ে দেন। খবর পেয়ে তারাই আমাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন।  

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরনবীর মুঠোফোনে কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা একটি ভিডিও চিত্র এক গণমাধ্যম কর্মী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। ভিডিও চিত্র দেখে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেব।  

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫