
দিনমজুর আ. খালেক। ছবি: সিংড়া প্রতিনিধি
শিকল পরে প্রায় ৪ মাস ধরে বন্দি জীবন-যাপন করছেন দিনমজুর আ. খালেক। এই শিকল বন্দি জীবন থেকে তিনি নিজেকে মুক্ত করতে চান।
দরিদ্র আফসার আলীর ছেলে খালেক। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌগ্রাম ইউনিয়নের সারদানগরে বিয়ে হয় খালেকের। কিছুদিন শ্বশুরবাড়ি এলাকায় থাকতেন। পরে পারিবারিক ঝামেলায় স্ত্রী ডিভোর্স দিলে গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে চলে আসার পর ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় কথা-কাটাকাটি হতো তার। এরপর ভাইও চলে যান বিদেশে। এতে মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েন তিনি। প্রায়ই এলাকার মানুষের সঙ্গে মারামারি করতেন। যার কারণে গ্রামের রুবেল ও ইউনুসের সহায়তায় তাকে বেড়ি পরানো হয়। তারপর থেকে তিনি শিকলে বন্দি।
আজ শনিবার সিংড়া থানা মোড়ে শিকল পরা অবস্থায় দেখেন মানবাধিকারকর্মী হামিদুল্লাহ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী রাজু আহমেদ ও সাংবাদিক রবিন খান। এ বিষয়ে তারা খালেকের সঙ্গে কথা বলেন।
ইউপি সদস্য ওসমান আলী বলেন, খালেক আগে থেকে প্রতিবাদী চরিত্রের ছিলেন। কিছু হলে অন্যকে মারপিটে উদ্যত হতেন। পরে শুনি তাকে শিকল পরানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ওসি তদন্ত আকবর আলী জানান, ভুক্তভোগী খালেক স্বাভাবিক থাকলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। আমরা আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।