
আদালতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ৩টি মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক ৮ কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের ১৯ নেতাকর্মীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশরাফ উদ্দিন তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে যান সিটি করপোরেশনের ৯ কাউন্সিলরসহ ২১ জন। এদের মধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবুকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
জেল হাজতে প্রেরণ করা বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক কাউন্সিলররা হলেন- ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সামসুদদ্দোহা আবিদ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের আউয়াল মোল্লা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কেফায়েদ হোসেন রনি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নাল আবেদীন হাওলাদার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়াল হোসেন রয়েল, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক মাসুম। এদের মধ্যে জিয়াউল হক মাসুদ একই ওয়ার্ড বিএনপির বহিষ্কৃত আহবায়ক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজ আহমেদ বাবলু জানান, গত ৪ আগস্ট বরিশাল নগরীর সদর রোডে জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ ৩টি মামলায় মোট ১৯ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেওয়ায় আসামিদের রিমান্ড চায়নি পুলিশ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি, সকল আসামিদের হাজতে দেয়া হয়েছে। কোর্টে অনেক উত্তেজনা প্রয়োগ করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে এমন উত্তেজনা আমরা নিন্দা জ্ঞাপন করি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আদালতে আসামি সারেন্ডারের ক্ষেত্রে আমরা আইনজীবীরা যেমন শঙ্কিত, পাশাপাশি ভাবে বিচার প্রার্থীরাও শঙ্কিত। জামিন না পেলেও আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এদিকে আসামিদের আদালত থেকে বের করে প্রিজন সেলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগ এবং জয় বাংলার স্লোগান দেন সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনুসারিরা। তবে এসময় আদালত চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।