Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হতদরিদ্র গারো সম্প্রদায়

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২:০৫

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হতদরিদ্র গারো সম্প্রদায়

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে বাড়ি ভেঙে গেছে। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি জনপদে ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় পাহাড়ি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাটির তৈরি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। 

জানা গেছে, গত বৃহস্পতি (৩ অক্টোবর) ও শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ভোগাই, চেল্লাখালি ও মহারশি নদী দিয়ে প্রবাহিত পাহাড়ি ঢলের স্রোতের কারণে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়দের গ্রামের উপর দিয়ে ঢল নেমে যাওয়ার সময় তাদের কাঁচা ঘরবাড়িগুলো মাটির সাথে মিশে যায়। রবিবার থেকে উজানের পানি নেমে আসায় সে ধ্বংসস্তূপের চিত্র ভেসে উঠছে। 

উপজেলার মরিয়মনগর, দুধনই, ভাটপাড়া, বারোয়ামারী, ধানশাইল, বাঁকাকুড়া, গজারীকুড়া গ্রামের গারো জনগোষ্ঠীর মাটির ঘরগুলো ক্ষতির শিকার হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রামগুলোর মধ্যে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার ভাটপাড়া। গ্রামটির ৩৭টি পরিবারের সবগুলো ঘর নুইয়ে পড়েছে। একেকটি পরিবারের ঘরের সংখ্যা দুই থেকে তিনটি। হঠাৎ করে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অনেক মানুষ পড়েছেন চরম বিপদে। 

ভাটপাড়ার বাসিন্দা সৌহার্দ্য চিরান বলেন, উজানের ঢলে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আমার গ্রামের শুধুমাত্র কয়েকটি পাকা ঘর বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। ঘর হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশের আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনদের বাড়িতে।

দুধনই গ্রামের মৃন্ময় চিরান জানান, তার গ্রামের প্রায় ৮-১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে রাতে অনেকেই তার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ঘর হারানো লোকগুলো রীতিমত নির্বাক হয়ে গেছে।

পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপদসীমার উর্ধ্বে প্রবাহিত হওয়ায় এ বন্যার সৃষ্টি হয়। শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীর কমপক্ষে ১৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। অসংখ্য বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনঃনির্মাণ বা পুনর্বাসনের বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান জানাযন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তালিকা তৈরির কাজ চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া হবে। 

এদিকে হতদরিদ্র আদিবাসী গারোদের বাড়িঘর বিধ্বস্তের বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জেলার সচেতন মহল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫