পাহাড়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসবে: পার্বত্য উপদেষ্টা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১১

অন্তবর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ছবি: খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে বিরত থাকার যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এ বিষয়ে ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি সাজেক ভ্রমণে গিয়ে প্রচুর পর্যটক আটকে যান। সারাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকেরা সেখানে আটকে পড়ায় সরকার খুব বিব্রত অবস্থায় পড়ে। সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা বিব্রত অবস্থায় পড়তে চাই না। সরকার সকল দিক বিবেচনা করে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
দীঘিনালায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান সুপ্রদীপ চাকমা।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি আছে তাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। তবে যারাই অপরাধী তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত সবাই চাঁদাবাজির শিকার। এখানে যারা আছেন প্রত্যেককে চাঁদা দিতে হচ্ছে। আমরা কেন দিচ্ছি? মুরগী বিক্রি হলে চাঁদা দিতে হয়, কলার ছড়া বিক্রি করলে চাঁদা দিতে হবে। এটা কখনো হতে পারে না।
এসময় দীঘিনালার লারমা স্কয়ারের সহিংসতার সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা, ভাঙচুরের শিকার হওয়াদের ২০ হাজার টাকা করে এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারকে এক লাখ টাকা সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।
এসময় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান,পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল,দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।